বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি। ৭৫০টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে ৮০টি দেশে। সামরিক ঘাঁটি ছাড়াও মোট ১৫৯ টি দেশে ১৭৩০০০০ সৈন্য মোতায়েন আছে আমেরিকার। যদিও প্রকৃত সংখ্যা এরচেয়েও অনেক বেশি বলে ধারণা সমর বিশেষজ্ঞদের। পৃথিবীর ৭ মহাদেশের সবগুলোতেই রয়েছে একাধিক মার্কিন ঘাঁটি। এমনকি বরফের মহাদেশ এন্টার্টিকাও বাদ পড়েনি। সেখানেও তিন তিনটি মিলিটারি গবেষণা কেন্দ্র বসিয়ে রেখেছে এই সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি। চলুন দেখে নেয়া যাক কী উদ্দেশ্য এবং কোন কোন অঞ্চলের কোন দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি তৎপর যুক্তরাষ্ট্র।

ইউরোপীয় অঞ্চল 

জার্মানির একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি, ছবি: বিবিসি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ছন্নছাড়া ইউরোপকে হাতে রাখতে এবং গোটা বিশ্বকেই নিজেদের প্রভাববলয়ে আনতে তৎকালীন দুই পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে শীতল যুদ্ধ শুরু হয়। ইতিহাসে তা ঠান্ডা যুদ্ধ নামে পরিচিত। পরাজিত অক্ষ শক্তির প্রধান কেন্দ্র হিসেবে খ্যাত জার্মানিকে ভাগ করে নেয় সোভিয়েত বাহিনী ও মার্কিনীরা। তখন থেকেই পশ্চিম জার্মানির নিয়ন্ত্রণ নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এবং পূর্ব জার্মানি চলে যায় সোভিয়েত ব্লকে। রাজধানী বার্লিনে প্রাচীর দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয় যা বার্লিন প্রাচীর নামে পরিচিত। তবে ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন দুর্বল হয়ে ভেঙে পড়লে দুই জার্মানি ফের একত্রিত হয় এবং পুরোপুরি মার্কিন ব্লকে ঢুকে যায়। দেশটিতে ১১৯ টি সামরিক ঘাঁটি আছে যুক্তরাষ্ট্রের। যা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। হিটলারের দেশটিতে ৩৩,৯০০ মার্কিন সৈন্য আছে যা সংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

ইতালির একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত অক্ষশক্তির আরেক প্রভাবশালী দেশ মুসোলিনির ইতালিতেও রয়েছে ১১৩ টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। সেখানের সৈন্য সংখ্যা ১২,৩০০। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র সাবেক পরাশক্তি যুক্তরাজ্যেও ২৪ ঘাঁটি এবং ৯,৩০০ সেনা রয়েছে। এছাড়া, নরওয়ের ৭ টি ঘাঁটিতে ৭৩৩ সেনা, স্পেনের ৪টি ঘাঁটিতে ৩১৬৮ সেনা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করা তুরস্কের ১৩ টি ঘাঁটিতে আছে ১৬৮৫ মার্কিন সেনা। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য একমাত্র মুসলিম এই দেশটি থেকেই ইরাক আক্রমণ পরিচালনা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধি ও ধরে অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে ইউরোপে রাশিয়ার প্রভাব ঠেকানো। গ্রিস, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ডসহ গোটা ইউরোপকে ঘিরেই রয়েছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।

মধ্যপ্রাচ্য

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় লণ্ডভণ্ড ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি, ছবি: আলজাজিরা

বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি তৎপর মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশগুলোতে। রাজতান্ত্রিক শাসনের এই দেশগুলো থেকে পানির দামে তেল ক্রয় করে নিজ দেশে মজুদ করছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব দেশে বসিয়েছে অসংখ্য ঘাঁটি। এছাড়া অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলকে নিরাপদ রাখতে আরব দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সবসময়ই সজাগ দেশটি। এর মধ্যে ১৯৭৯ সালে মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী মিত্র ইরানের রেজা শাহ পাহলভির পতন হলে দেশটির তেল ও গ্যাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায় যুক্তরাষ্ট্র। ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে শাহকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসা আয়াতুল্লাহ খোমেনির অনুসারী ছাত্ররা মার্কিন দূতাবাসের গোপন সামরিক ঘাঁটি দখল করে নিলে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে ইরাকের স্বৈরাচার সাদ্দাম ইরান আক্রমণ করলেও ৮ বছরের যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত ইরান জয়ী হয় এবং প্রতিবেশী সিরিয়া-ইরাক-লেবাননে প্রভাব বৃদ্ধি করে। এতে ইসরাইলের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়লে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের আশেপাশে নিজেদের সামরিক ঘাঁটির সংখ্যা বাড়াতে থাকে।

২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে সাবেক মিত্র সাদ্দামকে হটিয়ে দেয়। ইরাকের তেল ও গ্যাস দখলের চেষ্টা করলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেনি মার্কিন বাহিনী। দ্রুতই সেখানে আমেরিকা বিরোধী প্রতিরোধ গড়ে উঠলে নতুন চাল দেয় মার্কিন বাহিনী। সাদ্দামের অনুসারীদের দিয়ে ইরাককে অস্থিতিশীল করে ফায়দা লুটতে ২০১৪ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস গঠন এবং ইরাক-সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করে ঘরে-বাইরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ওবামা প্রশাসন। পরবর্তীতে ইরানের সাহায্যে এবং ইরাকের প্রভাবশালী আলেম আয়াতুল্লাহ সিস্তানির ফতোয়ার ভিত্তিতে গড়ে উঠা বাহিনী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স বা হাশেদ আশ-শাবি বাহিনী আইএসকে পরাজিত করলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। প্রতিশোধ নিতে ২০২০ সালে হাশেদ আশ-শাবি বাহিনীর কমান্ডার মাহদি আল মুহান্দিস এবং আইএসকে সিরিয়া-ইরাকে পরাজিত করার অন্যতম কারিগর ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে ড্রোন হামলায় হত্যা করলে ইরাকের জনমত পুরোপুরি আমেরিকার বিরুদ্ধে চলে যায়। জনরোষের মুখে ইরাকের সংসদ মার্কিন বাহিনীকে ইরাক ত্যাগের আইন পাশ করে। বর্তমানে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের ২,৫০০ সৈন্য রয়েছে নিরাপত্তা চুক্তির অংশ হিসেবে। জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পর ইরান আমেরিকার বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ করলে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র।

ক্যাম্প আরিফজান, কুয়েত, ছবি: ফক্স নিউজ

মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ কুয়েতের বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটিতে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুদেশ সিরিয়ায় আসাদ বিরোধী বিদ্রোহীদের সাহায্যে ২০০০ হাজারেও অধিক মার্কিন সেনা তৎপর আছে। রাজতান্ত্রিক দেশ জডার্নের সঙ্গে ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের সীমান্ত থাকায় কৌশলগত দিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই দেশটি৷ জডার্নের মুভাফফাক ছালটি বিমান ঘাঁটিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী অবস্থান। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র সৌদি আরব। সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনাসদস্য রয়েছে৷ মার্কিন ইশারায় ইয়েমেনে যুদ্ধে জড়িয়ে সৌদি আরবের অর্থনীতি চাপের মুখে পড়ে গেছে। সৌদি বিমানবন্দর ও তেলকূপে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং ইরান-সৌদি যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে সৌদিতে আরও সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্বীপ রাষ্ট্র বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ ঘাঁটি রয়েছে৷ বর্তমানে সেখানে সাত হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে।

২০১৭ সালে সৌদির সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র দেশ কাতারের। সে সম্পর্ক জোড়া লাগে ২০২১ সালে। কাতারের আল উদিদে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি ৷ সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে৷ হরমুজ প্রণালীর কাছের দেশ ওমান। দেশটির অবস্থান আরব উপকূলে যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ। ২০১৯ সালের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রকে বিমান ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় ওমান। বর্তমানে দেশটিতে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে। হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)৷ মার্কিন ও সৌদি আরবের মিত্র এই দেশটিতে পাঁচ হাজার সৈন্য আছে যুক্তরাষ্ট্রের।

দূর প্রাচ্য

জাপানের একটি মার্কিন বিমানঘাঁটি, ছবি: সিএনএন

দূর প্রাচ্যের দেশ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানে রয়েছে আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঘাঁটি। এ অঞ্চলে চীন ও তার মিত্র উত্তর কোরিয়ার প্রভাব ঠেকাতে বৃহৎ সামরিক প্রস্তুতি গড়ে তুলেছে আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সামরিক ঘাঁটি ও সৈন্য রয়েছে সূর্যোদয়ের দেশ জাপানে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত অক্ষশক্তির এই দেশটিতে দুইটি পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল মার্কিন বাহিনী। মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পনের পরই জাপানকে পুরোপুরি নিজেদের প্রভাববলয়ে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিম এশিয়ার এ দেশটির ১২০ টি ঘাঁটিতে ৫৩,৭০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্রদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার ৭৩ মার্কিন ঘাঁটিতে রয়েছে ২৬,৪০০ সেনা। সংখ্যার দিক থেকে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। জাপানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কোরীয় উপদ্বীপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুদ্ধের দামামা বেজে উঠে দুই পরাশক্তির মদদে। দক্ষিণ কোরিয়া আমেরিকার সহায়তা লাভ করে এবং উত্তর কোরিয়া চীন ও রাশিয়ার সাহায্যে লড়াই শুরু করে।

আফ্রিকা

আফ্রিকার একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি, ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশেই রয়েছে আমেরিকার সামরিক উপস্থিতি। খনিজ সম্পদে ভরপুর আফ্রিকাতে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বিভিন্ন দেশে গৃহযুদ্ধ লাগিয়ে রেখেছে। সব পক্ষকেই অর্থ-অস্ত্র সহায়তা দিয়ে বছরের পর জুড়ে একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লাগিয়ে সেখানকার সম্পদ বিনামূল্যে ভোগ করছে। লিবিয়া, সোমালিয়া, নাইজেরিয়াসহ অনেক দেশেই মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও সৈন্য রয়েছে।

ল্যাটিন আমেরিকা

ছবি: সংগৃহীত

ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশেই রয়েছে মার্কিন সেনারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী ও চিরশত্রু কিউবা উপকূলের কাছে গুয়ান্তানামোতে রয়েছে মার্কিন নৌঘাঁটি ও কুখ্যাত কারাগার। ১৯ শতকের শুরু থেকে দখলে রাখা এই দ্বীপটিতে ৭৩৩ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে। এছাড়া হন্ডুরাসের দুইটি মার্কিন ঘাঁটিতে ৩৬৯ সেনা রয়েছে। কলম্বিয়া, পানাম, নিকারাগুয়া, গুয়েতেমালা, ব্রাজিলেও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বিদ্যমান।

ওশেনিয়া ও এন্টার্টিকা

বরফের রাজ্য এন্টার্টিকায় মার্কিন বাহিনী, ছবি: সংগৃহীত

ওশেনিয়া মহাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে রয়েছে মার্কিন ঘাঁটি ও সেনা উপস্থিতি। দেশগুলো যেন মার্কিন বলয় থেকে বের হতে না পারে সেজন্য সেখানকার রাজনৈতিক ও সামরিক ব্যক্তিদের ওপর কড়া নজর রাখে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া জনমানবহীন বরফের রাজ্য এন্টার্টিকা মহাদেশেও তিনটি সামরিক গবেষণাগার স্থাপন করেছে দেশটি।

 

ইন্দো-প্যাসিফিকে সামরিক ঘাঁটি বসানোর চিন্তা পেন্টাগনের
জটিল ভৌগোলিক গঠনের ইন্দো-প্যাসিফিকে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব একটা সহজ নয়। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অনেকে নিজ ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি স্থাপন করতে দিতে রাজী নয়। এক্ষেত্রে সংঘাত এড়িয়ে চলার বিষয়ে রয়েছে আঞ্চলিক ভূরাজনীতির জটিল হিসাব-নিকাশও। এছাড়াও রসদ-সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়ে বড় একটি বিষয়। সামরিক ও ভূরাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিকে দক্ষিণ এশীয় পরিমণ্ডলে নৌঘাঁটি স্থাপনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক স্থান হলো বঙ্গোপসাগর বা সংলগ্ন এলাকা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সামরিক ঘাঁটি করতে দেয়ার মতো সহযোগী দেশ খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরেশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি বসাতে সামরিক ও কূটনৈতিক সব চ্যানেলকেই কাজে লাগানো হচ্ছে।

সূত্র-

https://www.aljazeera.com/news/2021/9/10/infographic-us-military-presence-around-the-world-interactive
https://www.politico.com/magazine/story/2015/06/us-military-bases-around-the-world-119321/